আব্দুর রশিদ, বাইশারী:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের অবহেলিত এক জনপদের নাম পশ্চিম বাইশারী। শিক্ষা, দীক্ষা, সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও এই গ্রামটি উন্নয়নের দিক দিয়ে রয়েছে অনেক পিছিয়ে। বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন গ্রামটি দেখলে মনে হবে আলো নিচেই অন্ধকার।
পরিষদ সংলগ্ন পশ্চিম বাইশারী রাস্তাটি হয়ে গুদাম পাড়া-হলুদ্যাশিয়া সংযোগ সড়ক মাত্র পৌনে এক কিলোমিটার রাস্তাটির ও বেহাল দশা। এছাড়া বাইশারী বাজার সংলগ্ন খালের পাশ ঘেষে নুরুল বশরের বাড়ি হয়ে পরিষদ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার রাস্তাটিও বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। তাছাড়া এবার পাহাড়ী ঢল ও বন্যার তীব্র ¯্রােতে সেই রাস্তাটির যোগাযোগের মাধ্যম একমাত্র কালভার্ট ব্রিজটিও পানিতে দুমড়ে মুচরে আরেক করুন দশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে মাত্র একটি কালভার্ট ব্রিজের কারণে গাড়ি চলাচল ও জনসাধারণে পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ উক্ত দুই সংযোগ সড়ক দিয়ে হাজার হাজার জনসাধারণ ছাড়াও স্কুল, মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করে থাকে।
পশ্চিম বাইশারী গ্রামটি আয়তনে ছোট হলেও দুই সংযোগ সড়ক দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ও মা বোনেরা সহজে চলাচল করতে পারে। তাছাড়া উক্ত গ্রামটিতে রয়েছে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি খাদ্য গুদাম, একটি মারমা পাড়া ও একটি মুসলিম পাড়া।
এছাড়া উক্ত গ্রামের রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক, গবেষক, আইনজীবি, সাংবাদিক, চিকিৎসক, স্কুল শিক্ষক সহ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়–য়া অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা এবং রাবার বাগানের অফিস। তবে পরিষদ সংলগ্ন গর্জন ছড়ার উপর লক্কর জক্কর ব্রিজটির কারণে দুঃখের আজ সীমা নেই। উক্ত লক্কর জক্কর ব্রিজ দিয়ে এ পর্যন্ত অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। গত বছর এক মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র সাইকেল সহ পানিতে পড়ে গিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ভেসে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তবে এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ নুরুল আজিম দ্বিমত পোষন করে বলেন, রাস্তা দুটি মেরামত/সংস্কার করতে গেলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজনেরা জায়গা এবং মাটি দিতে চাই না। তিনি আরো বলেন, কয়েক দফা রাস্তা মেরামত করতে গিয়ে নাজেহালের শিকার হয়েছেন স্থানীয়দের নিকট।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানী বলেন, পরিষদ সংলগ্ন গর্জন ছড়ার উপর ব্রিজটি ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। বর্ষার করণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখেছে। এছাড়া পরিষদ হয়ে গুদাম পাড়া সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ইট বিছানোর জন্য পরিষদের রেজুলেশন ও করা হয়েছে। তাই অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।